BLACKHOLE: DESTROYER OR CREATOR?

blackhole ব্ল্যাকহোল নিয়ে আলোচনার আগে বোলি যে নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার গল্প আমরা সকলেই ছোটবেলায় কম বেশি শুনেছি এবং মনে মনে শুধু এটাই ভেবেছি, কেনো যে সেদিন নিউটনের মাথায় আপেল পড়লো? ছোটবেলায় সবাই ভাবে, যদি সেদিন আপেলটা তার মাথায় না পড়তো তাহলে আমাদের এত সব সূত্র মনে রাখতে হতনা।

তবে নিউটনের মাথায় সত্যি আপেল পড়েছিল কিনা বাস্তবে তার কোনো প্রমাণ নেই। 1665 সালে কেমব্রিজে পড়াকালীন প্লেগের জন্য যখন স্কুল পুরোপুরি বন্ধ তখন তিনি তার বাড়ি ফিরে আসেন এবং সেখানে এক আপেলের বাগানে গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখেন। তখন থেকেই তার মাথায় ঘুরতে থাকে আপেল কেনো সোজা নিচেই পড়লো? যার ফলস্বরূপ তিনি আবিষ্কার করলেন সেই বিখ্যাত সূত্র যাকে বলা হয় ” মহাকর্ষ সূত্র” বা “Law of Gravity”। যেখানে বলা রয়েছে “মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু দুটির ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের মধ্যেকার দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক” । অর্থাৎ বস্তু দুটির ভর যত বেশি হবে আকর্ষণ বলও তত বেশি হবে এবং তাদের মধ্যেকার দূরত্ব বাড়লে আকর্ষণ বল কমবে, বস্তু দুটি কাছে থাকলে আকর্ষণ বল বেশি হবে।

এই মহাকর্ষ বলের জন্যই কিন্তু আমাদের সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ , গ্রহাণু এরা সবাই প্রদক্ষিণ করে। কারণ আমাদের সৌরজগতের অন্যান্য সমস্ত জ্যোতিষ্কের ভর যোগ করলেও তা কিন্তু সূর্যের ভরের সমান হবেনা। সূর্যের এই প্রকান্ড ভরের জন্যই তার আকর্ষণ বলও বেশি।

এ তো গেল আমাদের সৌরজগতের কথা কিন্তু আমরা আগের লেখায় যে ছায়াপথের কথা বললাম সেই ছায়াপথের কেন্দ্রেও এমন এক প্রকান্ড ভরের বস্তু রয়েছে যার আকর্ষণ বল সাংঘাতিক। আর এই সাংঘাতিক আকর্ষণ বলের জন্যই আমাদের সৌরজগতেরই মতো কোটি কোটি সৌরজগতকে নিজের চারিদিকে ঘোরাতে সক্ষম হয়েছে। সেই প্রকান্ড বস্তুর নাম হলো “ব্ল্যাকহোল” বা “কৃষ্ণগহ্বর”।

More by dipayan bose

View profile